বিশে পা দিল বশেমুরবিপ্রবি

আজ বুধবার (৮ জুলাই) ১৯ বছরে পেরিয়ে ২০ বছরে পা দিল গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। ২০০১ সালের এইদিনে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। আর পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড কর্তৃক এদিনটিই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেব উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

১৯ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দীর্ঘ কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা গেছে, আইন পাসের পর ২০০১ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯ জুলাই রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হিসেবে প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে নিয়োগ প্রদান করেন।

তবে এরপর সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে এবং উপচার্য প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানের নিয়োগ বাতিল করে তাঁকে তাঁর পূর্বের প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দেয়।

এরপর প্রায় আট বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা লাভের পর ২০০৯ সালে প্রকল্পটি পুনরুজ্জীবীত করে এবং ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ আইন-২০০১ বাস্তবায়নের জন্য এসআরও জারি করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে পুনরায় ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তীতে, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৫টি বিভাগে ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি অনুষদ এবং ৩টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি একসময় দেশসেরা বিদ্যাপীঠ হয়ে উঠবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যাতে শিক্ষার্থীরা জনশক্তিতে পরিণত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গবেষণা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।