জাবির দুর্নীতি নিয়ে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো হয়েছে: রাব্বানী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী। এই বিষয়ে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ডয়চে ভেলে বাংলার ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

সেই ঘটনা প্রসঙ্গে রাব্বানী বলেন, ‘যেভাবে ম্যানিপুলেট করে দেখানো হয়েছে মিডিয়ার মাধ্যমে, টিকটিকির অভিযোগকে কুমির করে দেখানো হয়েছে। এখানে আরো অনেকেই জড়িত আছে৷ প্রধানমন্ত্রী যেখানে কথা বলেছেন, তার দিকে যাতে কোন আঙ্গুল না উঠে, এ বিষয়ে যাতে কোন প্রশ্ন না উঠে সেজন্য আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’

এত কিছুর পরও দুদক বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই ঘটনার কেন তদন্ত করা হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাব্বানী। বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় প্রধানমন্ত্রী কষ্ট পেয়েছেন এটা স্বাভাবিক, যে তিনি এটা প্রত্যাশা করেননি। একটা (জাহাঙ্গীরনগর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর যিনি আগে থেকেই আপার (প্রধানমন্ত্রী) সাথে কানেক্টেড, ছোটবেলা থেকে চিনেন।’

রাব্বানী বলেন, ‘তিনি যখন বলেছেন তখন আপা ভাববে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এটা আমি স্পষ্ট দেখছি যে, তিনি উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তার ছেলে, তার হাজবেন্ড, তার পিএস সবার বিরুদ্ধে কিন্তু এই অভিযোগটা এসেছে যে, তারা টাকা নেয়ার সঙ্গে জড়িত৷ কিন্তু তদন্ত কেন হচ্ছে না?’ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ খণ্ডানোর সুযোগ পাননি বলেও দাবি করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর। নিজের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মূল ধারার রাজনীতি করি সেখানেও আমাদের রাজনীতি হবে সাদামাটা। আমাদের কোন কালো টাকা নাই, যেটা আমরা রাজনীতিতে ব্যবহার করবো৷ পেশিশক্তি নাই যেটা রাজনীতিতে ব্যবহার করবো। আমাদের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক হবে সাধারণ মানুষ।’

কোনো রাজনৈতিক দল ডাকলে তাদের সঙ্গে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি নতুন ধারার রাজনীতি দেশে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আওয়ামী লীগ বিএনপিকেন্দ্রিক বলয়ের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। আমাদের এমন কোনো পরিকল্পনা নাই যে আওয়ামী লীগ বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতা বা সহযোগিতা নিয়ে রাজনীতি করব।’

অন্যদিকে গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন তিনি এরইমধ্যে আইনজীবী হিসেবে নাম নিবন্ধন করেছেন। পাশাপাশি ব্যবসাও শুরু করছেন। এজন্য এক বন্ধুর সঙ্গে ‘বাংলাদেশ স্ট্রং সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএসএফ' নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন তিনি৷ উন্নত দেশগুলোর মতো সব ধরনের নিরাপত্তা সেবা দেয়ার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেয়া হয়েছে বলে জানান। সেখানে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্ত হয়েছেন এবং কোনো অর্থ লগ্নি করেননি বলেও দাবি করেন।