বাংলাদেশে তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের প্রচার নেই কেন?

বাংলাদেশের একটি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে, এর চেয়ে আনন্দের খবর আর কি হতে পারে? এত বড় একটি আবিষ্কারের খবর তেমন প্রচারণা পাচ্ছেনা, ফেসবুকে ঝড় তুলছেনা কারণ গ্লোব বায়োটেক বা ড. আসিফ মাহমুদ পলিটিক্যাল স্টান্টবাজি, মিডিয়া স্ট্যান্টবাজি করেন নাই, বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করেন নাই। আফসোস... আমরা সত্যকে বেশি সন্দেহ করি আর মিথ্যাকে বেশি বিশ্বাস করি।

গ্লোব বায়োটেকের প্রেস কনফারেন্স দেখলাম। ড. আসিফ মাহমুদ খুব সুন্দরভাবে ওনাদের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন। যদিও বৈজ্ঞানিক ডাটা গুলো দেখতে পারিনাই কারণ সময় নিউজ আর চ্যানেল ২৪ এর যে দুইটি ভিডিও দেখেছি, দুই জায়গাতেই ড. আসিফ যখন বৈজ্ঞানিক ডাটা দেখাচ্ছিলেন তখনও চ্যানেলগুলো আজব কারণে এবং বিরক্তিকরভাবে ক্যামেরায় ওনার চেহারা দেখাচ্ছিলেন।

যাইহোক ওনার কথায় যেটুকু বুঝেছি, সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন কোন ধরণের পলিটিক্যাল বা অপ্রয়োজনীয় মিডিয়া এটেনশনের চেষ্টা ছাড়া। আমার কাছে খুবই প্রমিজিং মনে হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হলে বিশ্বে আমাদের অবস্থান অন্য উচ্চতায় চলে যাবে।

বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর এটি। আমরা যে আর বটমলেস বাস্কেট নেই, আমাদের দেশেও যে এমন মানুষ আছে যারা বিজ্ঞানে তার অবদান রাখতে পারে এটা তার একটি উদাহরণ। ড. আসিফ মাহমুদ ও তার টিমের জন্য শুভকামনা। আর জনাব হারুনূর রশিদের জন্যও শুভকামনা যিনি এই রকম একটি উদ্যোগে বিনিয়োগ করেছেন।

আমাদের দেশের অনেক কোটিপতি আছেন কিন্তু তারা গবেষণায় বিনিয়োগ করেনা। অথচ উন্নত দেশে ধনীরা এই কাজটি খুব বেশি করেন তাই সেখানে এতো আবিষ্কার হয়। আমাদের দেশে হারুনূর রশিদের মতো গবেষণায় বিনোয়োগ করার মত যত বেশি সাহসী মানুষ তৈরী হবে দেশ তত বেশি এগিয়ে যাবে।

লেখক: সাবেক অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়