৩ মাস ধরে বেতন বন্ধ গণস্বাস্থ্য প্যারামেডিকদের

র‌্যাপিড কিট আবিষ্কার করে আলোচনার তুঙ্গে থাকা অন্যতম বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্যারামেডিকদের টানা তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়ে শোচনীয়ভাবে দিন যাপন করছেন তাঁরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতদের সাথে কথা বলে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়। প্যারামেডিকরা জানান, বাংলা মাস অনুযায়ী তাদের বেতন হয়। সর্বশেষ ফাল্গুন মাসের পর তাঁরা আর বেতন পাননি। অর্থাৎ চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাসের বেতন বাকি আছে এবং ঈদের আগে আষাঢ় মাসও শেষ হয়ে যাবে।

তাদের অভিযোগ, আমাদের মতো কর্মীরা তো এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের সাথে কথাই বলতে পারিনা। দেখা যায়, প্রতিবছরই দুই তিন মাসের বেতন বাকি থাকে। আমাদের সাব-সেন্টারগুলোতে যারা ইনচার্জ আছেন, তাঁরা মিটিংয়ে চাইলে এসব বিষয়ে বলতে পারেন। জানা যায়, দেশের প্রায় অর্ধ-শতাধিক সাব-সেন্টারে ৮৫০ জন প্যারামেডিক সেবা প্রদান করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র পরিচালক (গ্রামীণ স্বাস্থ্য) ডা: একেএম রেজা বলেন, ‘দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে আয়ের পরিমাণ ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তাই কয়েকমাস তাদের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। আমরা নিজেরাও বেতন নিইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো কর্মীকে ছাটাই করিনি বা বেতনও কমাইনি। সাময়িক এই অসুবিধার বিষয়ে কর্মীদের দেখভাল করার জন্য যে কাউন্সিল আছে, তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা আগামী মাসের ১০-১৫ তারিখের মাঝে তাদের দুই মাসের বেতন দিতে পারবো বলে আশা করছি।’

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেতন ভাতা নিয়ে নানা সমস্যা তুলে ধরে কর্মবিরতি পালন করে গণস্বাস্থ্য মেডিকেলের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের নিয়মিত বেতন ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তাঁরা পুনরায় কাজে যোগদান করে।