লঞ্চডুবির ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা

বুড়িগঙ্গা নদীতে সদরঘাটে সংঘটিত লঞ্চ দুর্ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, সুকানিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এতে আসামি হিসেবে ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াত ও মাস্টার আবুল বাশারসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান মামলার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নদীতে ভেসে ওঠার পর কোস্ট গার্ডের কর্মীরা তাঁকে তুলে নেন। উদ্ধার করার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। তাকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস নৌবাহিনীর ডুবুরি দল বিআইডব্লিউটিএর ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (অপারেশন) এম এ হালিম বলেন, আমরা সকাল ছয়টা থেকে থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। সমন্বয় করছে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি। লঞ্চে কোনো মৃতদেহ আছে কি না, সে ব্যাপারে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে ডুবন্ত লঞ্চটির উদ্ধারকাজ চালাবে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী দল। আমরা শুধু তাদের সহায়তা করছি।