মুহূর্তের মধ্যে ছোট্ট লঞ্চটিকে পিষে দেয়া হয়

বুড়িগঙ্গা নদীতে

বুড়িগঙ্গা নদীতে বড় এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি ছোট লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনার পর তাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরাও সেখানে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।

ঘটনার পর ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থেকে সংগ্রহ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, সামনে ছিল ছোট লঞ্চ ‘মর্নিং বার্ড’ আর পেছনে বড়টি ‘ময়ূর-২’। একটির তুলনায় আরেকটি পাহাড়সমান বড়। ইতোমধ্যেই এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। তা দেখে স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটির পেছনে আরকটি চলছিল অনেক্ষণ। হঠাৎই ময়ূরের ভয়াবহ ধাক্কা খায় মর্নিং বার্ড। শুধু ধাক্কা নয়, বলতে গেলে একেবারে পিষে ফেলে প্রায় শতাধিক আরোহীর লঞ্চটিকে। এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ঘটনায়। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লালকুঠী ঘাটে যাত্রী নামিয়ে সদরঘাটের চাঁদপুর ঘাটে গিয়ে নোঙ্গর করার জন্য ব্যাক গিয়ারে ঘুরছিল। ওই সময় পেছনে নদীতে থাকা এমভি মর্নিং বার্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার মানুষ ঘাটে এসে ভিড় করেন। মর্নিং বার্ডের নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে ঘাটে আসা স্বাজনদের বিলাপ করতে দেখ যায়।

বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক মো. সেলিম জানান, এমভি মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে নদীতে চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।

তিনি বলেন, মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন। তবে ঠিক কতজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।