ধর্ষণের বিচার চেয়ে রাজপথে স্কুলছাত্রী

গলায় ব্যানার ঝুলিয়ে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক স্কুলছাত্রী। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর ছেলে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তার। এ ঘটনায় জড়িতের বিচার চেয়ে একাই তিনি কর্মসূচি পালন করছেন।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী জানান, বারবার থানায় ধরনা দিয়েও মামলা করতে পারছেন না। এ বিষয়ে পুলিশের আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, এর আগে নেত্রকোনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ধর্ষকের বিচারে দাবিতে কেন্দুয়া উপজেলা পৌর শহরেও মানববন্ধন হয়েছে। এসব কারণে ধর্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে উল্টো মামলা করে তার পক্ষ নেয়াদের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে ধর্ষক।

ছাত্রীর অভিযোগ, গত ২৯ জানুয়ারি কেন্দুয়া পৌরসভার শান্তিনগর এলাকার সোহরাব মাস্টারের বাড়িতে একই উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের প্রভাবশালী মুকুল খানের ছেলে প্রিন্স খান বাবু তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থল থেকে প্রিন্স খান বাবুকে আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে তাকেও থানায় নিয়ে যায়। 

পরদিন সকালে প্রিন্স খান বাবুর বিরুদ্ধে আমার বড় ভাই স্থানীয় থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে ধর্ষকের বিচার চেয়ে আমি নেত্রকোনা প্রেসক্লাবে সংবাদ করি। এছাড়া কেন্দুয়া উপজেলা পৌর শহরে মানববন্ধন হয়। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন স্থানীয় লোকজন। 

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রিন্স খান বাবু বাদী হয়ে গত ২০ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এতে স্থানীয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেনসহ ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ছাত্রী জানান, এ ঘটনায় আমাকে এবং আমার বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। তিনি দ্রুত ধর্ষকের বিচারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় আমরণ অনশনে যাওয়ার কথা জানান তিনি।