আলোচিত সেই গিয়াস উদ্দিন পেলেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদান

গিয়াস উদ্দিনের হাতে চ্যাক তুলে দিচ্ছেন মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেল

দেশের বহুল আলোচিত দুরারোগ্য ব্যাধি মাস্কুলার ডিস্ট্রফি আক্রান্ত গিয়াস উদ্দিনের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ত্রাণ ও চিকিৎসা তহবিলের ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রবিবার (২৮ জুন) আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেল দলীয় সভানেত্রীর কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই চেক হস্তান্তর করেন।

জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন গত বছর থেকে এই রোগে আক্রান্ত। দেশে মাত্র কয়েকজন রোগীই আছেন যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়। গত বছর তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা রাসেলের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সে সময়ই চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করান ও ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

অনুদান পেয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট চির কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। সব সময় আমার চিকিৎসার খোঁজ খবর ও বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তা করার জন্য, আপনারা আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা দুর্বল হয়ে যায়, মাংসপেশি জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে যায়। এক সময় নিস্তেজ হয়ে পঙ্গু হয়ে যায় রোগী। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি বেশিদিন বাঁচে না, আর রোগটি নিরাময়যোগ্যও নয়।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম আলমগীর জানান, ডুশিনি মাসকুলার ডিসট্রফি’ আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয় না, এ রোগে আক্রান্তদের মাসল (মাংসপেশি) গ্রো করে না। যে কারণে একেক সময় শরীরের একেকটা অঙ্গ দুর্বল হতে শুরু করে। মাংশপেশি ডিসট্রফি হয়, পায়ে হলে হাঁটতে পারে না, শক্ত হয়ে যায়, হাতে হলে কিছু ধরতে পারে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, এই রোগ একেবারেই কিউরেবল (নিরাময়যোগ্য) না। চিকিৎসা করলে হয়তো একটু আরাম হয়, কিন্তু এই রোগ সেরে যায় না। মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার দরকার হয়, কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয় না।