কাশ্মীরে নাগরিকত্ব পেল ২৫ হাজার অ-কাশ্মীরি

কাশ্মীরে প্রায় ২৫ হাজার অ-কাশ্মীরি নাগরিকত্ব সনদ পেলেন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের নয় মাস পর এই সুযোগ দিচ্ছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এর ফলে সেখানে এখন থেকে অ-কাশ্মীরিরাও স্থায়ী বসতি গড়তে পারবেন এবং সরকারি চাকরির সুযোগ পাবেন।

তবে সরকারের এই পদক্ষেপে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে কাশ্মীরের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল। তাদের অভিযোগ, এর মধ্য দিয়ে বিজেপি সরকার সেখানকার মুসলমান সংখ‌্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বিন্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।

সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, গত বছর আগস্ট মাসে ভারতের সংবিধানের ৩৫-ক ধারা ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের রাজ্য ও স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি সরকার। বাতিল করা হয় কাশ্মীরের নাগরিকত্ব সুরক্ষা আইনও। এরপর প্রায় ২৫ হাজার অ-কাশ্মীরি স্থায়ী নাগরিকের সনদ পেলেন।

স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়া এসব ভারতীয়দের মধ্যে বিহারের আইএএস অফিসার ও কৃষি উৎপাদন বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নবীন চৌধুরীও রয়েছেন।

কাশ্মীরের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অভিযোগ, নতুন এই আইনকে হাতিয়ার করে দেশের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যের জনসংখ্যার বিন্যাস বদলানোর ছক করছে আরএসএস-এর নীতিতে চলা বিজেপি সরকার।

এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান ছিল। সেই সংবিধান অনুযায়ী, বাইরের রাজ্যের কেউ ভূস্বর্গের স্থায়ী নাগরিক হতে পারতেন না। জমি, স্থাবর সম্পত্তির মালিকও হতে পারতেন না।

এখন থেকে কিছু শর্ত পূরণ করে ভারতীয়রা কাশ্মীরের নাগরিকত্বের জন্য তহশিলদারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। শর্ত পূরণ করলে কাউকে এই সনদ দিতে কোনো কর্মকর্তা অকারণে দেরি করলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।