ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাদ্রাসায় ৬ মাস যাবত শিক্ষকদের বেতন বন্ধ

ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার দুই হাজারের বেশি শিক্ষক ছয় মাস ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। শনিবার (২৭ জুন) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাদ্রাসার শিক্ষকরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চলমান করোনাভাইরাসের এ পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসার গোপালগঞ্জ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশের প্রতিটি উপজেলায় দুইটি করে মোট এক হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই মাদ্রাসাগুলোয় দুই হাজার ২০ জন শিক্ষককে সরকারি চাকরি প্রদান করা হয়।

তিনি জানান, আমরা গত ৬ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। এ অবস্থায় আমরা কারো কাছে হাত পাততে পারছি না। করোনা পরিস্থিতিতে কোনো সরকারি সাহায্যও পাইনি। ঈদের আগে ভাগ্যে জোটেনি বোনাস। তাই আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। এসব মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয় বলেও জানান তিনি।

সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, মাদরাসাগুলো মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতাধীন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া দ্রুত এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব। আমাদের প্রতি মাসে ১১ হাজার ৩০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। করোনার মধ্যে ছয় মাস বেতন নেই, পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। তাই অচিরেই বেতন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় সমিতির সহ-সভাপতি মো. হুসাইন আহম্মেদ, ফরিদপুর জেলার সভাপতি মুফতি বেলায়েত হোসেন ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাসউদুল হক বলেন, এ মাদ্রাসার শিক্ষকরা সরকারি প্রকল্পের আওতায় চাকরি করেন। নতুন প্রকল্প পাশ না হওয়ায় তাদের ছয় মাসের বেতন বন্ধ রয়েছে। একনেকে এ সংক্রান্ত নতুন প্রকল্প পাশ হলেই, তারা আবার বেতন পাওয়া শুরু করবেন বলে আমি জানতে পেরেছি।