পাঁচ মাস বেতন বন্ধ স্টেপ প্রকল্পের ৭৭৭ শিক্ষকের

দেশে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের (ডিটিই) স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্পের (স্টেপ) অধীনে নিযুক্ত ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৭৭৭ জন শিক্ষক টানা পাঁচ মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকরা বেতন-ভাতা না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি গত বছরের জুনে শেষ হয়। এরপর সরকার এ শিক্ষকদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে বিলম্ব হওয়ায় গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস এই শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু গত জানুয়ারি থেকে তারা আর কোনো বেতন-ভাতা পাননি।

প্রকল্পের এক শিক্ষক বলেন, প্রকল্প শেষ হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের মৌখিকভাবে কাজ করে যেতে বলা হয়েছে। তারাও গত জুন থেকে ক্লাস নিচ্ছেন। তাদের ছয় মাসের বেতন-ভাতা বাকি হলে গত ডিসেম্বরে ছয় মাসের বকেয়া বেতন পেয়েছিলেন। তা আবার ধারদেনা শোধ করতেই শেষ হয়ে গেছে। তারা বর্তমানে আত্মীয়স্বজনের কাছ থকে ধারদেনা করে চলছেন।

জানা গেছে, দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোট শিক্ষক ১ হাজার ৪২৭ জন। তার মধ্যে রাজস্ব খাতে ৬৫০ জন, আর প্রকল্পের ৭৭৭ জন।

প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াধীন শিক্ষকদের সংগঠন বিপিটিএফের সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। অথচ ছয় মাস বেতন নেই, গেল রমজান মাসেও বেতন ও উৎসব ভাতাদির কোনো খবর হয়নি। শিক্ষকদের মধ্যে এখন চরম হতাশা।

কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান বুধবার বলেন, শিক্ষকদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত ফাইল পাঠিয়েছিলাম। বাজেট অধিবেশনের কারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তারা সময় নেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিন মাসের বেতন অনুমোদন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফাইল ফেরত আসবে বলে আশা রাখছি।