এবার চটলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

এবার নতুন করে চটলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বললেন- সময় নষ্ট না করে দ্রুত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের অনুমোদন দিন। তা না হলে ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না। মঙ্গলবার তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। তার মিডিয়া সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় দেয়া ওষুধের ডোজের দাম নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শুধু তাই নয়, ওষুধের দাম শুনে তিনি সেটি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের রসে লি: উৎপাদিত ওষুধ এ্যাক্টেড-২০এমএল এর প্রতি ডোজের দাম ১০ হাজার টাকা।

এদিকে আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে। তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের কেবিন বেডে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত দুইদিন সামান্য শ্বাসকষ্ট থাকলেও বর্তমানে ভালো আছেন বলে তিনি জানান।

তার স্ত্রী মানবাধিকার কর্মী শিরীন হক ও ছেলে বারীশ হাসান চৌধুরী করোনা পজেটিভ হলেও বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সুস্থ আছেন। তিনি নিজের ও পরিবারের জন্য দোয়া চেয়েছেন এবং দেশবাসীর নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।