সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার প্রস্তাব জবি ভিসির

কভিড-১৯ ভাইরাসের জীবন আছে কিনা জানি না। শুনেছি এটা নাকি RNA, RNA জীবন না জীবনের অংশ সেটা ভালো বলতে পারবেন জীব বিজ্ঞানীরা (যেমন - কুমিল্লা অথবা যশোর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য )। তবে এটা আমি নিশ্চিত করোনা ভাইরাস ধনী-গরীব, সাদা-কালো, নাস্তিক-আস্তিক কিছুই চেনে না। দিন রাতের পার্থক্যও বোঝে না।

করোনা ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার মতো না, যা কেবল সন্ধ্যায় কামড় দেয়। করোনার আক্রমণ দিনে রাতে যে কোন সময় হতে পারে। তাহলে ‘স্বাস্থ্যবিধি’ মেনে ‘সীমিত পরিসরে’ বাজার-দোকান যদি খুলতে হয় তবে সেটা অতি অল্প সময়ের জন্য কেন? অল্প সময়ের জন্য (১০টা থেকে ৪টা) দোকান খোলা থাকলে ক্রেতারা সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়বে এবং ভিড় বাড়বে।

যদি অর্থনৈতিক কারণে এবং জীবিকার তাগিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখতে হয় তবে সেটা দীর্ঘ সময় (যেমন সকাল ৯ টা থেকে রাত ১১টা ) পর্যন্ত খোলা রাখলেই বরং বাজার বা দোকানে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় থাকবে। এক্ষেত্রে দোকানের কর্মচারীদের একাধিক শিফট করা যেতে পারে।

ক্রেতাদের জন্যেও সময় ভাগ করা যেতে পারে। যেমন- যাদের বয়স পঞ্চাশের বেশি তারা দোকানে যাবেন সকাল ন'টা থেকে দুইটার মধ্যে, পঞ্চাশের কম বয়সীরা যাবেন ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে, যারা সপরিবারে বাজারে যাবেন তারা সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১১ টার মধ্যে। ভিড় কমানোর জন্য সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতেও আপাতত বাজার খোলা রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ সপ্তাহের সব কয়দিন সবকটি মার্কেট/দোকান দীর্ঘ সময় ধরে খোলা থাকলে দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে 'সামাজিক দূরত্ব' বজায় রাখার যে নসিহত মহামারী বিশেষজ্ঞরা করছেন তা প্রতিপালনে সহায়ক হবে।

লেখক: অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

লেখা: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত