ঈদের নামাজে টাকা তোলা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

ঈদের জামাতের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িসহ অর্ধশত বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মে) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খর্দরহুয়া সকাল ৯টায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, ওসমান মিয়া (৩৫), নুরুল শেখ (৫০), সোহাগ (১৬), জুয়েল (২৮), ইউনুছ (৩৫), হারেজ শেখ (৬০), সুফিয়া (১৪)। বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টায় খর্দরহুয়া মসজিদে ঈদের নামাজের সময় মসজিদের উন্নয়নের টাকা তোলা হচ্ছিল। এ সময় বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে বক্কার মোল্যা ও নুরুল শেখ নামে স্থানীয় দুই গ্রাম্য মাতবরের হাতাহাতি হয়।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, গ্রাম্য মাতবর বক্কার মোল্যা শ্রীকোল ইউপি চেয়ারম্যান ও শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের সমর্থক। অন্যদিকে নুরুল শেখ শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমির হোসেন মোল্যার সমর্থক। স্থানীয় রাজনৈতিক কর্তৃত্ব নিয়ে উভয় সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে।

এ বিষয়ে আমির হোসেন মোল্যা বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান সংগ্রাম ও তার লোকজন প্রথমে আমার সমর্থক নুরুল শেখসহ অন্যদের ঈদের নামাজ চলাকালে মসজিদের ভেতরেই জখম করে। পরে মহুর্তের মধ্যে অন্য গ্রামের কয়েকশত লোকজন এনে আমাদের ওপর পুনরায় হামলার পাশাপাশি বাড়িঘরে লুটাপাট করে। আমি এবং আমার সমর্থকরা কোন সংঘর্ষে জড়াইনি।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম বলেন, এটি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে গ্রাম্য দুই মাতবরের বিরোধ। এখানে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বরং আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করেছি। আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় সার্বক্ষনিক পুলিশ প্রহরা রয়েছে।