করোনা কেড়ে নিল ১১ পুলিশ সদস্যের প্রাণ

সর্বশেষ মারা যান মোখলেছুর ও মামুনুর রশিদ নামে দুই পুলিশ সদস্য

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনকালে করোনাক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১১ জন সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২১ মে) মোখলেছুর রহমান ও আল মামুনুর রশিদ নামের দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। 

কনস্টেবল পদমর্যাদায় মোখলেসুর রহমান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অধীনে সদর কোর্টে কর্মরত ছিলেন। আর নায়েক পদমর্যাদায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরিবহন বিভাগে কর্মরত ছিলেন আল মামুনুর রশিদ।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ রোধে দায়িত্ব পালনকালে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোখলেছুর রহমান মারা গেছেন। তার বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার টামটা গ্রামে। তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার মরদেহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে, সর্বশেষ করোনার কাছে হার মানালেন নায়েক পদমর্যাদায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরিবহন বিভাগে কর্মরত আল মামুনুর রশিদ। বৃহস্পতিবার (২১ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আল মামুনুর রশিদ লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার সেবাগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আল মামুনুর রশিদের মরদেহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে করোনাযুদ্ধে ৯ জন পুলিশে সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন। তারা হলেন-ডিএমপির কনস্টেবল জালাল উদ্দিন খোকা (৪৭), সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শ্রী রঘুনাথ রায় (৪৮), কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০), এএসআই মো. আব্দুল খালেক (৩৬), কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ (৪৩), উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুল আরেফিন (৪৪), এসবির এসআই নাজির উদ্দীন (৫৫), এসআই মো. মজিবুর রহমান তালুকদার (৫৬) এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল মো. নঈমুল হক (৩৮)।