নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে উপরে তুলতে রোজা রেখে গালি দিচ্ছে

Private & Public আছে, National প্রতীকী

এটা লক্ষণীয়, যে যেভাবে পারছে সে তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রয়োজনে রোজা রেখে গালি দিচ্ছে।

শুরুতেই এই ইস্যুটার শিরোনম নিয়ে বলতে হয়, এখানে Private & Public আছে, National কে যেন তারা কি যেন বিশেষ কারণে বাদ দিয়া রাখিয়াছেন। (আল্লাহ মালুম)

দেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় হোক National, Private, Public অথবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাম না জানা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রত্যকটি Institute এর কিছু না কিছু গৌরব গাঁথা রয়েছে। private তার যায়গা থেকে, public/National তার যায়গা থেকে ভিন্ন ভিন্ন স্ব-স্ব দিকে এগিয়ে রয়েছে।

"Public এ পড়ি- এখানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আসছি, ছাড়পোকার কামর খেয়ে বড় স্থানে পৌঁছোই" ইত্যাদি। আপনার মেধা কতটুকু এটা important, public কিনা এটা নয়। বর্তমানে কেউ হিরো দেখে থিয়েটারে যায় না, স্ক্রিপ্ট দেখে যায়। আপনি public এ পড়লে এই জ্ঞানটা নিশ্চই রাখা উচিৎ যে National, Private কিংবা নাম না জানা কলেজ থেকেও মেধা শক্তির সাহায্যে তাঁরা বিশ্বে নাম কুড়িয়েছেন। আর না জানলে অনুসন্ধান করে নিবেন।

আপনার Quality দেখবে, চেহারা কিংবা University নয়। আর মেধার বিকাশের ব্যাপারটা ভর্তি পরীক্ষার সময়ই খালি হয় না, আর হলেও বিশেষ কিছু হননি আপনি।

"আমরা private এ পড়ি, এখানে বড়লোক এমপিদের ছেলে-মেয়েরা পড়ে, চাষা ভূসারা নয়" ইত্যাদি। Can you notice one thing? ধরুন ২টা শিশুর জন্ম হলো। একজন মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে চোখ খোলার সাথে সাথে দেখলো তার সামনে দামী দামী আসবাব, আধুনিক সব জিনিসে ঘর ভর্তি।

আরেক টা শিশু জন্মের সাথে সাথে দেখলো ভাঙা বেড়া দিয়ে ঘরে চাঁদ কিংবা সূর্যের কিরণ পরছে।

এখানে প্রথম শিশুটির ধনী আর ২য় শিশুটির গরীব হওয়ায় তাদের নিজস্ব কতটুকু ভূমিকা আছে? আল্লাহ বলেছেন, তিনি মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। কাউকে সম্পদ দিয়ে কারোটা বা কেড়ে নিয়ে। যার সম্পদ বেশী তার সেভাবেই হিসাব নেওয়া হবে।

পৃথিবীর ১০০ মহান মানুষের তালিকায় প্রথম ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) (peace be upon him) তিঁনি কত টাকার মালিক ছিলেন? আর চাষা ভূসা কাদের বলছেন? যারা আপনার মুখের খাবার জন্মাতে রোদে পুরে আর বৃষ্টিতে ভিজে? সম্মান-করতে না জানলে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে কার কি আর আসে জায়। ধুর মিয়া!

আর National এর কথা কি বলবো তাঁরা এই আলোচনায় থাকছে না। I really really respect you guys. করোনা সংকটে যেখানে গোটা বিশ্ব হিমশিম সেখানে private -public নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেছে। আর নিজের মেধার পরিচয় দিচ্ছে।

ভাই ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবেন, কেউ আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনতে চাইবে না। আমাকে বিশ্বাস করেন, এটা ২০ ২০। কি করেন, কি আবদান রাখতে পারলেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ।

পরিশেষে, অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এটা আবিস্কার করেছে, সেটা করেছে। তা নিয়েও কাদা ছোড়াছুড়ি হয়। এটাকে প্রসংশা করুন, উৎসাহিত হন যারা করতে পারেন নি তারাও। We All Are Bangladeshi, Right? একজন বাঙালি করেছে সেটা বলুন।

সারাবিশ্ব অনেক এগিয়েছে। এখন যদি এটা সেটা নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করেন তাহলে সামনে এগোবেন কিভাবে? এতে না আল্লাহ খুশি হয়, না কোনো মানুষ। আশা করি সবাই স্বাভাবিক ভাবে নিবেন। কাউকে কষ্ট দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়।

লেখক: একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী