বিশেষ বিবেচনায় পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ চান ২৭শ’ প্রার্থী

বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পুলিশের ২৭শ’ এসআই প্রার্থী। আজ রোববার (১৭ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ দাবিতে একটি মানববন্ধনও করেছেন তারা

পুলিশের ৩৮তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর(এসআই) নিরস্ত্র পরীক্ষায় চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন এক হাজার ৩০৭ জন। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে তাদের প্রশিক্ষণ আটকে আছে।

এখন করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় দেশ সেবায় অংশগ্রহণ করতে চান লিখিত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আরও দুই হাজার ৭০০ এসআই প্রার্থী। মৌখিক পরীক্ষা থেকে তারা সবাই বাদ পড়েছেন।

আজ সোমবার (১৮ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। ‘৩৮ তম সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচে অপেক্ষমাণ তালিকা হতে নিয়োগ চাই’ ব্যানারে তারা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

ওই আবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় এক লাখ পঁচিশ হাজার প্রার্থীর মধ্যে শারীরিক ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চার হাজার একশত পঁচিশ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। এর মধ্য থেকে সিলেকশন বোর্ড এক হাজার চারশত দু’জনকে সাময়িকভাবে সুপারিশ করে। পরে ৯৫ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চূড়ান্ত ভেরিফিকেশনে বাদ পড়ে।

কয়েক বছরের নিয়োগ পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, এক বছর মৌলিক প্রশিক্ষণ চলাকালীন সাময়িকভাবে নির্বাচিতদের মধ্যে অনেকেই প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে জয়েন করেন বলেও ওই আবেদনে জানান তারা।

প্রসঙ্গত, ৩৭তম এসআই ক্যাডেট নিয়োগে ভাইভায় উত্তীর্ণ হয় দুই হাজার প্রার্থী। মেডিকেল ও চূড়ান্ত ভেরিফিকেশনে বাদ পড়েন ৮৬ জন।প্রশিক্ষণের জন্য সুপারিশ করা হয় বাকি এক হাজার ৩০৭ জনকে।

মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে চূড়ান্তভাবে যোগ দেন এক হাজার ৭৫৯ জন। ট্রেনিং চলাকালীন সময়ে অন্য চাকরিতে যায় ১৫৫ জন। ওই নিয়োগে ভাইভায় উত্তীর্ণদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভেরিফিকেশনে সমস্যা থাকা এবং অন্য সরকারি চাকরিতে জয়েন করার কারণে ২৪১ জন যোগ দেননি।