ছাত্রলীগ নেতাদের ভিলেন বানাচ্ছে ‘হ্যালো বিএসএল’ অ্যাপ!

করোনা সংকটে দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ অ্যাপ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রলীগ। তবে উদ্বোধনের আগে এটি নিয়ে বির্তক জড়িয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

জানা যায়, এই অ্যাপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোর থেকে দেশের যে কোনো প্রান্তে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৫.০ বা তার উপরের ভার্সনে যে কেউ ডাউনলোড করে লগইন করতে পারবেন। এতে রাখা হয়েছে ছাত্রলীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সেল। এই সেলের কাছে যে কেউ পরামর্শ নিতে পারবেন।

খাদ্য সহায়তার জন্যে দেয়া থাকবে সাংগঠনিক ইউনিট ও তার অন্তর্ভুক্ত ইউনিটের শীর্ষ নেতাদের নাম ও ফোন নাম্বার।

তবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোন ত্রাণ বা আর্থিক অনুদান আমাদের দেননি, এই অ্যাপের ব্যাপারে আমাদের কাউকে কিছু জানানোও হয়নি। অথচ সেখানে আমাদের নাম ও ফোন নাম্বার দিয়ে বলে দিলেন, আমাদেরকে কল করলেই আমরা ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দিয়ে আসবো।

এখন অনেকেই কল দিয়ে সহায়তাও চেয়েছেন। সাধারণ লোকজন ভাববে, আমরা ত্রাণ এনে খেয়ে ফেলেছি। তারা আরও জানান, ‘Hello BSL’ নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এটি করতে গিয়ে সংগঠনের শত শত নেতাদের ভিলেন বানিয়ে দিচ্ছে।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা এটা উদ্বোধন করিনি। করবো কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। উদ্বোধন করলে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেব। তবে, যদি কেউ এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করে থাকে, তাহলে তারা অতি উৎসাহী। আমরা আগে উদ্বোধন করব, তারপর যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আমরা দেখবো।’

এ বিষয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আরিফ হোসাইন ফেসবুকে লেখেন, ‘দেশের যে কোনো দুর্যোগকালে ছাত্রলীগ সবসময়ই গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। করোনা মহামারির শুরু থেকেই ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে এদেশের জনমানসের প্রত্যাশা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

‘এই সংকটে মানুষের পাশে থেকে ছাত্রলীগ আরও সুশৃঙ্খলভাবে তার কর্ম সম্পাদনের জন্য ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ নামে একটি এ্যাপস খুলেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে জরুরি চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এই ভালো কাজটি করতে গিয়ে আমাদের মত শত শত কেন্দ্রীয় নেতাদের যে নিজ এলাকায় ভিলেন বানিয়ে দিচ্ছেন সেদিকে আপনাদের খেয়াল আছে? আপনারা আমাদের ত্রাণ বা আর্থিক কোন অনুদান দেননি, আমাদের কাউকে জানাননি, অথচ ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’-এ আমাদের নাম, নাম্বার দিয়ে বলে দিলেন আমাদেরকে কল করলেই আমরা ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দিয়ে আসবো। কি আজব? এলাকার লোকজন রীতিমত ভাবতে শুরু করেছে আমরা ত্রাণ/সাহায্য এনে খেয়ে ফেলেছি।