ডাকাতি ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় ঢাবি ছাত্রকে হত্যার হুমকি

মাদক ব্যবসা ও ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা তানিমসহ তার গ্রামের সাধারণ মানুষ। আজ শুক্রবার (১৫ মে) ভোর ৪টায় মেইন রোডে ডাকাতির সময় ডাকাতদের হাতেনাতে ধরে ফেলার পরপরই তারা সাধারণ মানুষের উপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়।

কিশোরগঞ্জ সদরের বৌলাই ইউনিয়নের মইশাখালী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে গ্রামের মসজিদে দ্রুত তা জানিয়ে দেওয়ার পর গ্রামবাসী জড়ো হলে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ডাকাত দলের চারজনের মধ্যে দু’জনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ডাকাত দলের সর্দার আবুল কালাম আজাদকে ধররতে গেলে হামলার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহজাহান তানিমসহ তার এলাকার লোকজন। এসময় দু‘জন গ্রেফতার হলেও আবুল কালাম এবং আবদুল গফুরের ছেলে রাজীব মিয়া পালিয়ে যায়। পরে কালামের সমর্থকরা সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটায় বলে তারা অভিযোগ করেছেন।

উল্লেখ্য, আবুল কালাম একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে জানা গেছে। গ্রামবাসী জানান, তিনি জামিনে বের হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। গত দশ-বারো বছর ধরে রাস্তায় এবং মানুষের বাড়িতে ডাকাতির পাশাপাশি মাদক ব্যাবসায় জড়িয়েছেন তিনি। ফলে ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পায় সাধারণ মানুষ।

তবে আজ শুক্রবার পাহারা বসিয়ে ডাকাতদলকে ধরার পরপরই সেখানে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। অপরাধীরা সবাই কিশোরগঞ্জ সদরের ছয় নম্বর বৌলাই ইউনিয়নের বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে তানিমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন চলমান ডাকাতি এবং মাদক ব্যাবসা বন্ধের লক্ষে গ্রামের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গোপন পাহারা বসিয়ে এদের হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এ হামলা করেছিলো এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথাও বলা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ অবস্থায় আমি কিশোরগঞ্জের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই এডিসি মাসউদ ভাই এবং ইউএনও আবদুল কাদির ভাইকে জানিয়েছি। তারা ওসি স্যারকে বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’