বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ করোনায় আক্রান্ত নোবিপ্রবি ছাত্র

বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী। ২০১৩-১৪ বর্ষের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো মোবারক হোসেন নিজেই দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মে মাসের ২ তারিখ থেকে তার বড় ভাইয়ের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরবর্তীতে ৪ তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়ে আসেন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম বিআইটিআইডিতে নমুনা পাঠানো হলে ১০ মে প্রকাশিত রিপোর্টে তার রেজাল্ট আসে।

পরদিন ১১ মে তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়। পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করে নেওয়া হয় আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেলে কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে। একদিন পর আসা রেজাল্টে পূর্বে আক্রান্ত বড় ভাইর নেগেটিভ এবং মোবারকসহ তার বাবা-মা, ভাবী এবং ছোট ভাইর মাঝে পজিটিভ পাওয়া যায়। এছাড়া ছোট বোনপর মাঝে নেগেটিভ পাওয়া গেলেও তার কাশি এবং শরীর ব্যথা রয়েছে।

এর আগে তার বড় ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হয়ে উঠেন। কিন্তু রেজাল্ট দেরিতে আসায় না জানার ফলে এরমধ্যে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিশেছেন। ইতিমধ্যে তার থেকে পরিবারের সকলের মাঝে ভাইরাসটি ছড়িয়ে যায়। মোবারক বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলার ফলেই আজ তারা সকলে আক্রান্ত।

তিনি বলেন, ঘরে জায়গা সংকোলন না থাকায় সকলকে মিশতে হয়। কিন্তু বড় ভাইয়ের আক্রান্তের বিষয়ে আগে জানলে অন্যদের আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়ে হলেও তাকে আইসোলেশনে রাখা যেত। রেজাল্ট দেরিতে আসার ফলে আজ তাদের পরিবারকে এ বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তারা সকলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে নিজ বাসায় সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন। নোবিপ্রবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ তাদের খোঁজ নিয়ে নিয়মিত নির্দেশনা দিচ্ছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের নিকট মোবারাক দোয়া কামনা করেছেন।

ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, নিয়মিত আমরা তার পরিবারের খবর রাখছি। দোয়া করছি যেন তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারেন। এছাড়া তিনি সকলকে অনুরোধ করেন করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য।