কুমুদিনী মেডিকেলের কাশ্মীরি ছাত্রীর বাড়ি ফেরার আকুতি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত ভারত, কাশ্মীর ও নেপালের ৮৫ জন ছাত্রী নিজেদের দেশে ফিরতে চেয়েও পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে তারা নিজ দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোকে ইমেইল করে নিজেদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ণ চিকিৎসকসহ ৭৮১ জন ছাত্রী রয়েছে। এরমধ্যে বিদেশি ১৭০ জনসহ ৬৫৯ জন ছাত্রী বাড়ি ফিরতে পারলেও ভারত, কাশ্মীরি ও নেপালের ১২২ জন ছাত্রী কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে ৮৫ জন শিক্ষার্থী নিজ দেশে ফিরতে চাইলেও ‘টিকিট পাচ্ছেন না’ বলে অভিযোগ।

গত ১১ মে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে শ্রীনগরের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে ই-মেইলে করেছেন আটকে পরা শিক্ষার্থীরা। এরপর গত সোমবার কাশ্মীর অবজারভার এবং কাশ্মীর ওয়াচে খবরটি প্রকাশিত হয়।

ইমেইলে এক ছাত্রী লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে আমাদের অসহায়ত্বের বিষয়টি অবগত করতে চাই। বাংলাদেশের কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে আমরা পড়ে আছি। ঢাকা থেকে শ্রীনগরসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ফ্লাইট গেলেও ফেরার টিকিট দিতে আমাদের অবহেলা করা হচ্ছে। দয়া করে আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারের কাছে খবরটি পৌছাতে সাহায্য করবেন। আমরা সব মিলিয়ে এখানে ৮৫ জন মেয়ে ক্যাম্পাসের হোস্টেলে আছি। করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সবাই ফেরার অপেক্ষায়।’

এ বিষয়ে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল হালিম জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরতে ভারতীয় দুতাবাসে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছে। পর্যায়ক্রমে তাদের দেশে নেয়া হচ্ছে। আমাদের কলেজের ছাত্রীদেরও পর্যায়ক্রমে নেয়া হচ্ছে।