সেমিস্টার ফাইনালের দ্রুত মূল্যায়ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

করোনাভাইরাস প্রকোপে স্থগিত হওয়া আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার কোন সুরাহা হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে আইআইইউসি।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী সেমিস্টার ফাইনালের পরিবর্তে মিড টার্মের রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে গ্রেড কনভার্ট করা এবং যাদের মিডের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তাদেরকে অ্যাসাইনমেন্টের ব্যবস্থা করা।

‘আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১৩ মে বুধবার বিকেল ৩ টায় জামালখান প্রেসক্লাবে গণজমায়েতের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দেশের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার ফাইনালের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও আইআইইউসি কর্তৃপক্ষ তাদের কোন নোটিশ দেয়নি এবং বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি নীরব ভুমিকা পালন করে আসছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল্লাহ সালমান ফারসী জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এরপরেও কর্তৃপক্ষ নীরব থাকলে আগামী ১৩ মে বিকেল ৩ টায় জামালখান প্রেস ক্লাবে গণজমায়েতের মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।

একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা জানা যায়, করোনা দূর্যোগ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে পিছিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তারা গত ২৯ জানুয়ারি ছাত্র অসন্তোষের কথা তুলে বলেন, সে সময়ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় একমাস বন্ধ ছিল। আমরা সে ক্ষতিও পুষিয়ে উঠতে পারিনি। এদিকে তারা আমাদের আগের সেমিষ্টার ফাইনালের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে আমাদেরকে নিয়ে নতুন সেমিষ্টারের অনলাইন ক্লাস শুরু করে দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা চাই সেমিস্টার ফাইনালের ব্যাপারে অতিদ্রুত ইউজিসির নির্দেশনা অনুসরণ করে নর্থ সাউথসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আমাদের বিশ্ববিদদ্যালয়ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটা সিদ্ধান্ত দিবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার কর্ণেল মেহাম্মাদ কাশেম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ইউজিসির নির্দেশনা অনুসরণ করে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো। এসময় অনলাইনে ক্লাস চলমান রাখবেন কি না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে। কারণ শিক্ষার্থীদের যেন সেশনজটে না পড়তে হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কে এম গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা ইউজিসির নির্দেশনা সম্পূর্ন অনুসরণ করছি। অনলাইনে পরীক্ষার ব্যাপারে সবার সঙ্গে পরামর্শ করে ইউজিসিতে প্রস্তাবনা পাঠাবো। তারা এ ব্যাপারে অনুমোদন দিলে জুনের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষা নিতে পারবো। তবে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে পরীক্ষার সময় আরও বাড়তেও পারে।