করোনার ভ্যাকসিন প্রায় তৈরি, দাবি চীনা প্রতিষ্ঠানের

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের খোঁজে বিশ্বে অন্তত ৮০টি জায়গায় স্বতন্ত্র গবেষণা চলছে। অনেকেই দাবি করছেন, তারা প্রায় সেরে ফেলেছেন গবেষণা । এদের সবার থেকে এগিয়ে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভাক। তারা বলছে, এখন শুধু গণ উৎপাদনের ছাড়পত্রের অপেক্ষা। তাদের গবেষণাগারে তৈরি ভ্যাকসিনই করোনা ঠেকাতে সাহায্য করবে।

সিনোভাকের দাবি, বানরের শরীরে অভুতপূর্ব সাফল্য মিলেছে এই ভ্যাকসিনের। তবে গণহারে উৎপাদন করার জন্যে এখনও অনেকগুলি ধাপ পেরোনো বাকি তাদের।

আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় নেই বলে রোগীর শরীরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করতে সমস্যায় পড়ছে সিনোভাক। তাদের ভাষ্য, আপাতত ৪টি ট্রায়াল হয়েছ তাদের 'কোরোনাভ্যাক' নামক ভ্যাকসিনের। এর আগে সোয়াইন ফ্লু-এর ভ্যাকসিনও গণ হারে উৎপাদন করেছিল সিনোভাক।

করোনার এই দুঃসময়ে যে চারটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে চীন, তার একটি পরিচালনা করছে সিনোভ্যাক বায়োটেক। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস রোধে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির ব্যাপক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। ভ্যাকসিনটি সদ্যই মানব শরীরে পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, করোনা প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। একটি নিষ্ক্রিয় প্যাথোজেনের ওপর ভিত্তি করে এই ভ্যাকসিনের হাজারো শট সাদা-কমলা রঙের একটি প্যাকেজে সজ্জিত করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে করোনাভ্যাক। এই ভ্যাকসিনটি প্রায় তৈরি হয়ে গেছে।

সিনোভ্যাকের আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক মেং উইং বলেন, ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সংস্থাটি বিদেশি অংশীদারদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। গবেষণা কাজের পাশাপাশি সিনোভ্যাক ব্যাপক উৎপাদনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা দিনরাত কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। ভ্যাকসিনটি তৈরির জন্য আমরা এক মিনিটও অপচয় করি না।

সূত্র: দ্য স্টার অনলাইন।