করোনা চিকিৎসায় রোবট, তিন শিক্ষার্থীর সেরা চমক

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়ি থেকে বের হলেও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখছে। আর যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের সেরে তুলতে কাজ করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এছাড়া করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীও আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ঝুঁকি বাড়ছে।

এবার তাদেরকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে এমন একটি রোবট তৈরি করেছে তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন জোবাইরুল হক ,শুভাশিষ সেন, মো শাহাজালাল। তারা তিনজনই চট্টগ্রাম ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের ছাত্র। তাদের আবিষ্কৃত ওই রোবটটি দিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা রোগীকে সেবা দিতে পারবেন। এই দুঃসময়ে এটিকে সেরা চমক হিসেবে দেখছেন অনেকে।

তাদের আবিষ্কৃত ডক্টরস অ্যাসিস্ট্যান্ট নামক ওই রোবটটি সম্পর্কে জোবাইরুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিদিন বেশ সংখ্যক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। সেই বীরদের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এই রোবটের মাধ্যমে একজন চিকিৎসক যেকোন স্থানে বসে রোগীকে সেবা দিতে পারবে। ইনফ্রেরেট থার্মোমিটারের সাহায্যে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে সাথে সাথে এসএমএসের মাধ্যমে চিকিৎসকের কাছে ডাটাগুলো পৌছে দিবে। রোগীর ভিপিএম পরিমাপ করে এসএমএসের মাধ্যমে চিকিৎসকের কাছে পৌছে দিবে ডাটাগুলো।

আর চিকিৎসক রোগীর সাথে সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে পারবে। রোগীও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এই রোবটের মাধ্যমে জীবানো নাশক স্প্রেও করা যাবে। রোবটের ভিতরে অটো হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। এই রোবটের মাধ্যমে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ও খাবার সরবরাহ করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, রোবটের মাধ্যমে যদি এই কাজগুলো করতে পারি তাহলে বার বার করোনায় আক্রান্ত রোগীর কাছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীকে যেতে হবে না। তখন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে বলে আমি মনে করি।