করোনার কারণে নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

চীন থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নিয়েছে। অধিকাংশ দেশ লকডাউন থাকায় মানুষ কার্যত ঘরবন্দি। এ অবস্থায় নারী নির্যাতন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে নারী নির্যাতনের চিত্র এবং তার ফল তুলে ধরা হয়েছে।জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে লকডাউনের সময় অনেক নারীই তাদের নিজ বাসায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অথচ এ অবস্থায় তাদের নিরাপদে থাকা উচিত ছিল।

তিনি বলেন, কিছু দেশে দ্বিগুণ সহায়তা চাচ্ছেন নারীরা। তাদের সহায়তাকারীর সংখ্যা কমে গেছে।নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়া কেন্দ্রগুলো হয় পূর্ণ হয়ে গেছে অথবা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে সব সরকারের কাছে আহবান, কোভিড-১৯ মোকাবেলা পরিকল্পনায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হোক।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের আগের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল কোনো না কোনো সময় বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।

গুতেরেস বলেন, এই ইস্যুটি সব অর্থনীতির দেশকেই প্রভাবিত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক চতুর্থাংশ কলেজ ছাত্রী যৌন নির্যাতন বা দুর্ব্যবহারের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন। অর আফ্রিকার সাব সাহারান অঞ্চলের দেশগুলোতে ৬৫ শতাংশ নারী সরাসরি নির্যাতনের শিকার।

বিবৃতিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে নারী নির্যাতন দ্বিগুণ হয়েছে, তুরস্কে নারী-হত্যার হার বেড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৯০ হাজার লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার অভিযোগ এসেছে। আর অস্ট্রেলীয় সরকারের কাছে অনলাইনে সাহায্যপ্রার্থীর হার বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ফ্রান্সে  এক সপ্তাহে ঘরোয়া নির্যাতন বেড়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, কোভিড-১৯ হারাতে যেভাবে কাজ করছি, আমাদের সেভাবে সবাই একসঙ্গে বাড়ি থেকে যুদ্ধের ময়দান- সবখানেই সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে।