টাকার অভাবে জীবনসংকটে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী

‘ছোটোবেলা থেকে বাবা-মায়ের স্নেহ দিয়েই আমরা খায়রুলকে বড় করেছি। ডাক্তাররা বলছেন খায়রুলকে সুস্থ করে তুলতে হলে আইসিইউতেই রাখতে হবে। কিন্তু আইসিউয়ের ব্যয় আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। আমরা খায়রুলকে বাঁচাতে চাই তবে টাকার অভাব আমাদের হারিয়ে দিচ্ছে’- কান্নাজড়িত কন্ঠে এভাবেই নিজেদের দুরাবস্থার কথা বলছিলেন খায়রুলের ফুফু হাসনা আক্তার।

ছোটোবেলাতেই বাবা-মাকে হারানো খায়রুল বর্তমানে মহাখালী ইউনিভার্সাল হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউতে) লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২৩ মার্চ কুমিল্লায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় পা এবং মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পায়। বর্তমানে তার প্রতিদিনের চিকিৎসা ব্যায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

খায়রুলের ফুফু হাসনা আক্তার বলেন, ‘ছোটোবেলায় বাবাকে হারানোর পর খায়রুলের মাও আর খায়রুলের সাথে সম্পর্ক রাখেনি। আমরাই তাকে বাবা-মায়ের স্নেহ দিয়ে বড় করেছি। কিন্তু আমরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নই। তাই আমাদের অনুরোধ সকলে যেনো এই দুঃসময়ে খায়রুলের পাশে দাড়ায়।’

এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবির চলতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘এইমুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমাদের পক্ষে সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।’

এছাড়া, খায়রুলের কয়েকজন সহপাঠী সম্মিলিতভাবে খায়রুলের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। খায়রুলের ফুফু হাসনা আক্তার জানিয়েছেন ইতোমধ্যে তারা ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে খায়রুলের চিকিৎসার জন্য প্রদান করেছেন।

খায়রুলকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য যোগাযোগঃ
আবিদ হাসান (বিকাশ): ০১৯৭৬৬৭২৫১১
হাসান (রকেট): ০১৯১৮৬১৭৭৬৭২
ইমন (নগদ): ০১৭৮৪৪৮৪৮৫৪