করোনা: দিন মজুরদের পাশে চবির ব্যাংকিং এন্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ

সম্প্রতি নভেল করোনা ভাইরাস এর মহামারী রূপ ঠেকাতে পুরো বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। দিন দিন বাংলাদেশেও বিস্তার করেছে এর প্রকোপ। এমতাবস্থায় সরকারের দেশবাসীকে নিজ বাসায় অবস্থান করার ঘোষণাকে সাধুবাদ জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। তাঁদের সচেতনতা ও অর্থ উপার্জনের উৎসের অপ্রতুলতার দিকটি বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এইসব খেটে-খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা।

বুধবার প্রথম ধাপে নগরীর ২নং গেইট, জিইসি, লালখান বাজার, টাইগারপাস এলাকার প্রায় ২৫০ টি হতদরিদ্র রিকশা চালক ও ভ্যান চালক-কে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য (চাল, ডাল, আলু, ঔষধ, স্যালাইন, সাবান, মাস্ক ইত্যাদি) বিনামূল্যে বিতরণ করেছে শিক্ষার্থীরা।

‘দূরে থেকে পাশে দাঁড়ায়, অনাহারীর আহার যোগাই’ স্লোগানটি মাথায় রেখে চবির ব্যাংকিং এন্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কয়েকজন সমাজ সেবকের অর্থায়নে প্রতিটি পরিবারের জন্য ৩ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন, ২টি জীবাণুনাশক সাবান, ২ টি মাস্কসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়।

প্রজেক্টটির বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উক্ত বিভাগের প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রিফাত রহমান এবং বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ। প্রজেক্টটি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তৌফিক আহমেদ উচ্ছ্বাস, আবিদ আরমান, মাহফুজুর রহমান, রাফসান, সাকিব, রায়হান, আতকিয়া সুবাত, জাবেদ, মিনহাজ, আশরাফ সহ উক্ত বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা অবদান রাখেন। বিভাগটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘‘ব্যাংকিং ফেলোস ফর লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট (বি. এফ. এল.ডি)’’ এতে সার্বিক সহযোগিতা করে। প্রজেক্টটির উদ্যোগের কথা শুনে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অভাবনীয় সাড়া দেয়।

উক্ত বিভাগের প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রিফাত রহমান বলেন, শুধু ব্যাংকিং-ই নয় এ বৈশ্বিক বিপর্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানবিক কাজে এগিয়ে আসা উচিত।

প্রজেক্টের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীরা জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সমাজের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা থেকেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন সংগঠন এই দুর্যোগময় সময়ে এগিয়ে আসা উচিত।