যশোর জেলা প্রশাসককে ৭০০ স্যানিটাইজার দিল যবিপ্রবি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য বিনামূল্যে ৭০০টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। আজ বুধবার দুপুরে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের পক্ষ থেকে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের হাতে ৭০০টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. এম. আর. খান মেডিকেল সেন্টারের জরুরি সহায়তার জন্য ৫০টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদানের বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার জানা মতে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সুতরাং বিচ্ছিন্নভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা চিকিৎসা সরঞ্জমাদি না দিয়ে এক জায়গা থেকে বিতরণ করলে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। যবিপ্রবিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের সকল সুবিধা রয়েছে। জেলা প্রশাসন বা সরকার কর্তৃক কাঁচামাল সরবরাহ করা হলে নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা সম্ভব হবে। যে বিভাগগুলো দেশের এই ক্রান্তিকালে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে সহায়তা করেছে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত উন্নত মানের ল্যাব ও বিশ্বমানের যন্ত্রপাতি সুবিধা রয়েছে। সরকার বা প্রশাসন চাইলে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়ার পর যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ যবিপ্রবি উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানান এবং জাতির ক্রান্তিকালে এ ধরনের সহায়তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার হস্তান্তরের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তানভীর ইসলাম, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মু. মুন্সী মনিরুজ্জামান প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ, ফার্মেসী বিভাগ ও রসায়ন বিভাগের কারিগরি সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা হয়।

এর আগে করোনাভাইরাসের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার, যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রচারপত্র বিলি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক রাখাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।