বেনাপোলে আটকা বাংলাদেশে অধ্যয়নরত শতাধিক কাশ্মীরী শিক্ষার্থী

ভারত কোন পাসপোর্টযাত্রী গ্রহণ না করায় বাংলাদেশে অধ্যায়নরত শতাধিক মেডিকেল শিক্ষার্থী বেনাপোল চেকপোস্টে আটকা পড়ে আছে। এসব শিক্ষার্থীরা গাজীপুর ইন্টার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা কমিউনিটি বেস্ট মেডিকেলে পড়াশুনা করছেন। তাদের বাড়ি ভারতের কাশ্মীরে বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে বসে রয়েছে। তবে এসব যাত্রীদের বেনাপোল ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা করতে কোন বাধা নেই। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রহণ করতে রাজী নয় বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশনকে। আবার সেদেশে আটকা পড়া বাংলাদেশীদের তারা ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। এসব বাংলাদেশী যাত্রীদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রহণ করছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান কবির বলেন, ভারতে লকডাউন করায় এবং তাদের কাছে সকল দেশ থেকে যাত্রী প্রবেশে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিধি নিষেধ আরোপ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যুর কারণে তারা তাদের নিজ দেশের যাত্রীদের ও নিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় প্রায় শতাধিক মেডিকেল শিক্ষার্থী বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে অপেক্ষা করছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উপরের থেকে কোন নির্দেশনা আসে নাই যে কোন যাত্রী প্রবেশ করানো যাবে না। যার কারনে বিদেশী যাত্রী বাদে শুধু আটকে পড়া বাংলাদেশী যাত্রীদের প্রবেশ করাচ্ছি। এর মধ্যে অধিকাংশ ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল। তারা ফেরত আসছে।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণরোধে এর আগে গত ১৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে ১৫ মার্চ দুই দেশের মধ্যে বাস, বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আর ২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৪ মার্চ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন।