অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে নিজ বাসা-বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ইতোমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। এদিকে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সংসদ টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের রেকর্ডিং করা ক্লাস প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। 

বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতিও শিক্ষার্থীদের অনলাইনে লাইভ ক্লাস অথবা ভিডিও টিউটরিয়াল প্রেরণের মাধ্যমে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন। রবিবার বিষয়টি নিয়ে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতামূলক কার্যকরী ভূমিকা পালন করা উচিৎ বলে আমরা মনে করি। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ অবস্থান ও সতর্ক থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। কেননা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘােষণাকে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে শিক্ষার্থীদের যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানাে অত্যন্ত বিপদজনক।

বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি মনে করে, করােনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য নিজের ও পরিবারের তথা সমাজ ও রাষ্ট্রের বহত্তর স্বার্থে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে অবস্থান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, গুজবে কান না দেয়াসহ সরকারি নির্দেশনা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যথাযথভাবে মেনে চলা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মােবাইল ফোনে এসএমএস, ইলেকট্রনিক মেইল, সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সরকারি নির্দেশনা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলার বার্তা প্রেরণ করা যেতে পারে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট প্রতিবেশীদের মাঝে সামর্থ্য অনুযায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজার, লিকুইড সােপ সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সেচ্ছাসেবক দল গঠনের মাধ্যমে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়ােজনবােধে সহযােগীতা করতে পারে। সেক্ষেত্রে সেচ্ছাসেবকদের সুরক্ষা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা ও নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় এবং জরুরী সেবাসমূহ বিকল্প ব্যবস্থায় করা যেতে পারে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা যে কোন দুর্যোগ সাহসিকতার সাথে মােকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করি।