পেলেন না এজমার চিকিৎসাও, ঢাবি ছাত্রের মায়ের মৃত্যু!

পুরোনো এজমার সমস্যা ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. খালিদ রহমানের মা-এর। সঙ্গে কয়েকদিন আগে জ্বর হলে চিকিৎসার জন্য কয়েকটি হাসপাতালে ঘোরেন তিনি। তবে কোথাও ভর্তি নেয়নি। শেষে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি নিলেও মারা গেছেন মা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র মো. খালিদ রহমান আজ শুক্রবার (২০ মার্চ) নিজেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন। জুম্মার নামাজের পর তার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার স্ট্যাটাসটি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’র পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘মা’র এজমার সমস্যা বহু দিনের পুরোনো। হালকা জ্বর এসেছিলো সপ্তাহখানেক আগে। প্রচন্ড বুক ব্যথা আর পেট ব্যথার চিকিৎসার জন্যে ওনাকে নিয়ে আমি বারডেম গেছি। বারডেম ওনাকে রাখে নাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে নাকি নির্দেশ শ্বাসকষ্ট আর জ্বর আসা রোগী দেশে করোনা আসার জন্যে ভর্তি নেয়া যাবে না। বারডেম মুগদা মেডিক্যালে রেফার করছে। আমি ওনাকে নিয়ে মুগদা মেডিক্যালে গেছি, কুর্মিটোলা গেছি, ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেছি।

কেউ রাখে নাই। কেউ না। আমি বারবার বলছি তার এজমার সমস্যা পুরোনো। আমাদের বাসার কেউ দেশের বাইরে যায়নি কিছুদিনের মধ্যে। কেউ শোনে নাই। ঠেলে আরেক জায়গায় পাঠায়ে দিছে কেবল।

ঢাকা মেডিক্যালে করানো ইসিজি রিপোর্ট যে খারাপ ছিলো তাও ওখানে আমাকে কেউ বলে নাই। এ আমি জানছি গতকাল সন্ধ্যায় মা’কে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ডায়বোটিস হাসপাতালে যাওয়ার পর।

আজ আমার মা রাজিয়া সুলতানা মঞ্জু সকাল ছয়টায় কার্ডিয়াক এরেস্টে মারা গেছেন। ওনাকে আমি একটা প্রাইভেটে ভর্তি করাতে পারছিলাম গতকাল রাতে। বাদ জুম্মা আমার মায়ের জানাজা।’