১০ হাজার ফ্রি ওয়াইফাই স্পট হচ্ছে গ্রামে

গ্রামের মানুষও ওয়াইফাই ইন্টারনেটের সুবিধা পাবেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় ১০ হাজার ওয়াইফাই হটস্পট থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে সংযোগ পাবেন তারা। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এ জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছে।

সরকারি কোম্পানিটির সারা দেশের এক হাজার ২১৬ ইউনিয়নে নিজস্ব ফাইবার অপটিক কেবল সংযোগ আছে। এসব ইউনিয়নের প্রতিটিতে অন্তত আটটি করে ওয়াইফাই হট স্পট করতে চায় তারা।এজন্য অন্তত ৯ হাজার ৭২৮ হটস্পট করতে হবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন।

বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে প্রথমবারের মতো বিটিসিএলের সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রশ্ন এবং মতামত জানতে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ সময় তিনি ওয়াইফাই হটস্পট করার তথ্য জানান।

পরে এমডি সাংবাদিকদের জানান, তার জানা মতে কোনো সরকারি কোম্পানির প্রধানের এভাবে সরাসরি গ্রাহকদেরকে মুখোমুখি হওয়া একটি বিরল ঘটনা। প্রায় এক ঘণ্টার লাইভে বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোট সাড়ে চারশতাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন বা গ্রাহক অভিযোগ ও মতামত শোনেন।

রফিকুল মতিন বলেন, ফ্রি ওয়াইফাই হটস্পট বিষয়ে তারা সরকারের কাছে একটি প্রকল্প জমা দিয়েছেন, যেটি পাশের অপেক্ষায় আছে।

প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রথম কিছু দিন তারা এটি গ্রাহকদের জন্য ফ্রি রাখবেন। পর্যায়ক্রমে সেটি অন্য কোনো অংশীদার খুঁজে তার কাছে হস্তান্তর করবেন। এর আগে জানুয়ারি মাসে বিটিসিএল দেশের ২৩ জেলার ১৪৬ স্কুল কলেজে ফ্রি ওয়াইফাই চালু করে। ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ ফ্রি তা উদ্বোধন করেন।

এর আগে এ বিষয়ে ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়, যেখানে সারা দেশের সব মিলে ৫৮৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই করার কথা।

এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩টি, ময়মনসিংহে ৩৫টি, চট্টগ্রামে ১০৭, বরিশালে ৪৫, খুলনায় ৮৩, রাজশাহীতে ৮৫, রংপুরে ৫৬ এবং সিলেটে বিভাগে ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফ্রি ওয়াইফাই চালু হওয়া প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথ দেয়া হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে এই ব্যান্ডউইথ পাবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যান্ডউইডথের খরচ বহন করবে। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিনামূল্যেই থাকবে।