করোনা মুক্তির স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাঙালি যুবক

চীনের ‍উহান থেকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা শুরু হলেও এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কানাডার এক দল গবেষক। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে একধাপ এগিয়েছে তারা। এই দলে রয়েছেন একজন বাঙালিও। তিনি অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা রুখতে এই গবেষকদের প্রতিষেধক কী করবে— এ প্রসঙ্গে অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, তাঁরা কিছুটা হলেও এই ভাইরাসকে জব্দ করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। যেটা দিয়ে বিশ্বজুড়ে রুখা যাবে এই মরণ ভাইরাসকে। কানাডার ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের বিষয়ে বেশ আশাবাদী। তাঁদের গবেষণা গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে।

অরিঞ্জয় সম্প্রতি তাঁর গবেষকদলের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন তাঁদের গবেষেণায় একধাপ সাফল্যের কথা। অরিঞ্জয়ের কথায়, ‘করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে মহামারি রুখতে ভূমিকা নিতে পারছি, এটাও গর্বের।’

গবেষক অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁদের দল ইতিমধ্যেই সার্স কোভিড-২ ভাইরাসকে আলাদা করতে পেরেছেন। এই সফলতার মহামূল্যবাণ সূত্র বাকি গবেষকদেরও দিতে চান তাঁরা। এতে সকলের মিলিত প্রয়াসে মারণ এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করার কাজ আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি।

অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। টরোন্টোর ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিভাগের গবেষক অরিঞ্জয়। যে বিভাগে করোনাভাইরাসের মতো মহামারি, যে কোনও রকম সংক্রামক রোগ এবং বাদুড় থেকে সংক্রামিত রোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়।

গণামাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই গবেষকের দল কোভিড-১৯-এর চরিত্র বিশ্লেষণ করতে সমর্থ হয়েছেন। ফলে, করোনাকে বাগে আনতে খুব দ্রুতই সমর্থ হবেন এই গবেষকদের দল, এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা। তাদের হাত ধরেই করোনার প্রতিষেধক তৈরি করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দু'জন রোগীর লালারস ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে কিছুটা হলেও করোনাকে জব্দ করার দাওয়াই খুঁজে পেয়েছেন কানাডার এই গবেষকদল।

বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এরই মধ্যে ছড়িয়েছে ১৩০টি দেশ ও অঞ্চলে। ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। প্রতিষেধক আবিষ্কারে হিমশিম খাচ্ছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা। এই যখন পরিস্থিতি, তখন এক বাঙালি তরুণের হাত ধরে মহামারি করোনা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখছে বিশ্ব।