মুজিববর্ষেই চাকরি আবেদনের বয়স ৩৫ করার দাবি আন্দোলনকারীদের

প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান

সরকারি চাকরিতে প্রবেশেরে বয়সসীমা ৩৫ করাসহ ৪ দফা দাবিতে গণ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এসময় আন্দোলনকারীরা মুজিববর্ষেই চাকরি আবেদনে বয়সসীমা ৩৫ করাসহ বাকি দাবিগুলো বাস্তাবায়নের আল্টিমেটাম দিয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, বেকার মুক্তি আন্দোলন, জাতীয় যুব কল্যাণ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এসব দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রধান সম্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও প্রধান সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় সমন্বিত গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সজীব আহমেদ, জেনি আক্তার, রেশমা আক্তার, নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সভাপতি আল-আমিন রাজু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সেলিম, বেকার মুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, তরিকুল ইসলাম, মো. রাসেল, জাতীয় যুব কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মাসুম বিল্লাহ, ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।

সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, কর্মসংস্থান ও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অহিংস আন্দোলন করে আসছি। এখন মুজিববর্ষ চলছে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশের সব নাগরিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার কারণে যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে ৩০ বছর পার করে ফেলেন সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রের উন্নতিতে কাজে লাগাতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা একটি যৌক্তিক দাবি। কিন্তু দুঃখের বিষয় দীর্ঘদিন এই যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন করা হলেও সরকার কোনো তোয়াক্কা না করে বেকার শিক্ষিত সমাজকে অপমান, অবহেলা, অবমাননা করছে।

আন্দোলনকারীদের দাবিসমূহ হলো: (বিশেষ দফা) উপযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে; চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত; চাকরিতে আবেদন ফি কমিয়ে (৫০-১০০) টাকার মধ্যে নির্ধারন; নিয়োগপরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেয়া; ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। এ দাবিগুলোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে বাকি সংগঠগুলোর ‘১ কোটি ৫০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে’ দাবিও যুক্ত করা হয়েছে।

আন্দোলনকারী বলছেন, বর্তমান সরকারের ইশতিহার অনুযায়ী তাঁরা ক্ষমতায় আসলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন ‘৩৫’ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার বিষয়ে তোমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত না জানিয়ে ৪১তম বিসিএসের সার্কুলার দিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যার কারণে দেশব্যাপী লক্ষাধিক ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছে।