সব তছনছ করে সমঝোতায় চবি ছাত্রলীগ, আটককৃতরা মুক্ত

উপাচার্যের সাথে বৈঠকের পর সমঝোতায় শেষ হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যকার সংঘাত। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সাথে বৈঠকে বসেন ছাত্রলীগের সব উপ গ্রুপের নেতারা, যা শেষ হয় রাত ১১টার দিকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দেবে, তার ভিত্তিতে প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। অন্যদিকে বিজয় গ্রুপকে সোহরাওয়ার্দী হলে উঠতে দেয়া হবে। ভাঙচুর ও মোটর সাইকেলের বিষয়ে উপাচার্য দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে আটক কর্মীদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, প্রত্যেকে যে যার হলে সহাবস্থান করবে। কোন ধরনের সংঘাতে জড়াবে না। এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘সবাই সমঝোতায় পৌছেছে। তাই আমরা কোন মামলায় যাচ্ছি না। আমাদের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে যে ব্যবস্থা নেব, তা সবাই মেনে নেবে বলে আমাদের জানিয়েছে।’

প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘটনার জেরে বুধবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে মধ্যরাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চবি ক্যাম্পাস। এসময় ভাঙচুর করা হয় আবাসিক হলের অর্ধশতাধিক কক্ষ। এতে আহতও হয় অর্ধশতাধিক এবং সাত জনকে আটক করা হয়।