আজ ৩৫ প্রত্যাশীদের বিক্ষোভ, ঢাকায় আসছে নেতাকর্মীরা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হবে। এদিকে কর্মসূচি সফল করতে ইতোমধ্যেই ঢাকায় আসতে শুরু করেছে ৩৫ প্রত্যাশীরা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও দাবি আদায় না হওয়ায় একধরণের চাপা ক্ষোভ থেকেই এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। কর্মসূচি সফল করতে গত একমাস ধরে নিজেদের মধ্যে কয়েকবার মিটিংও করে ৩৫ প্রত্যাশীরা। কর্মসূচি সফল করতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ইতোমধ্যে অনেকেই ঢাকায় চলে এসছেন। অনেকে এখনো এসে পৌঁছাতে পারেননি। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বড় ধরনের জমায়েতর সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংগঠনটির একাধিক নেতা জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক এম এ আলী বলেন, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করতে ইতোমধ্যেই সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছে। আজকের বিক্ষোভ জনসমূদ্রে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, আমরা সেশনজটে যে সময় হারিয়েছি তা আমাদের দোষে নয় বরং রাষ্ট্রের দ্বায়ীত্বহীনতার কারণেই। তাই এর দায়ভার রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। বর্তমান সরকারই কেবল পারেন আমাদের দাবি মেনে নিতে। নির্বাচনের আগে সরকার তাদের ইশতেহারেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির কথা বলেছিল। সরকারের সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই।

তিনি আরও বলেন, ৩৫ এখন গণদাবিতে রুপ নিয়েছে। জাতীয় সংসদে বারবার প্রস্তাব এসেছে ৩৫ এর পক্ষে। কিন্তু জাতীয় সংসদে না ভোটের মাধ্যমে নাকজ করে দিয়ে মূলত আমাদেরকে আশাহত করেছে। সরকার যদি অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা সারা বাংলার ছাত্র সমাজকে নিয়ে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।

প্রসঙ্গত, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়েছে ৩৫-এর সব চাওয়া-পাওয়া। তারপরও আন্দোলন থেকে সরে আসেননি আন্দোলনকারীরা। সাংগঠনিকভাবে কিছুটা গুছিয়ে উঠে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এ প্রক্রিয়ায় রয়েছেন আন্দোলনকারীদের সংগঠক ফেরদৌস জিন্নাহ লেলিন, সঞ্জয় দাসসহ আরও অনেকে।