হেফজখানার ছাত্রীকে কবরস্থানে নিয়ে ধর্ষণ

হেফজখানার এক ছাত্রীতে (১২) কৌশলে কবরস্থানে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষককের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষক জমির উদ্দিনকে (৩০) আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে আটক করে।

জানা গেছে, বাঁশখালী পৌরসদরস্থ এলাকার হেফজ বিভাগের ওই ছাত্রীকে ১৭ ফেব্রুয়ারি কৌঁশলে একটি কবরস্থানে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী থানায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে পৌর সদরস্থ ভাদালিয়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে জমির উদ্দিনকে আসামি করে মামলা দায়ের করনে। এদিনই সন্ধ্যায়ই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, মাদরাসা ছাত্রীধর্ষণের অভিযোগে হেফজখানার শিক্ষক জমির উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি কবরস্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।

এরপর থেকে ওই ছাত্রীটি আর হেফজখানায় যেতে অনিহা প্রকাশ করে। পরে কেনো সে যেতে যাচ্ছে না সেটা জানার জন্য চেষ্টা করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পরিবারের কাছে শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি জানায় সে। গতকাল ভিকটিমের মা মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।