নিয়োগ সংস্কার নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের আন্দোলন

চাকরির আবেদন ফি কমানো, বিভাগীয় শহরে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে তারা।

৮ দফা দাবিগুলো হলো- চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে, বিভাগীয় শহরে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হবে, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নাম্বার পৃথকভাবে প্রকাশ করতে হবে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিতসহ সকল নিয়োগের জন্য পিএসসির আদলে জাতীয় নিয়োগ প্যানেল গঠন করতে হবে, জাতীয় নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, তথ্য যাচাইয়ের নামে অযথা হয়রানি বন্ধ করতে হবে, বেকারত্ব নিরসনে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে এবং দেশে চাকরিরত বিদেশী নাগরিকদের সংখ্যা কমিয়ে দেশীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।

2 (15)জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি শেষ না হতেই চাকরির পেছনে ছুটতে হয় শিক্ষিত বেকারদের। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের প্রয়োজনে লোকবল নিয়োগ দিলেও নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যয়ের ভার গুনতে হয় শিক্ষিত বেকারদের। তাছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীক পরিক্ষা হওয়ার যাতায়াত সহ থাকা-খাওয়ার খরচ বেকারদের জীবন আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে।

3 (10)

একজন বেকার যখন তার বেকারত্ব ঘুচানোর চেষ্টা করছেন, তখন সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান সংগঠনটি। এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারসহ ৪ দফা দাবিতে “কোটা সংস্কার আন্দোলনে” নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। আন্দোলনের মুখে সংসদে কোটা ব্যবস্থা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।