চলতি বছরেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন

চলতি বছরের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুায়ারি) দুপুরে গাজীপুরস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে বার্ষিক বিশেষ সিনেট অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিনেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।

আরও পড়ুন: সমাবার্তনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, তবে....

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফয়জুল করিম দ্যা ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। তাই উনার সাক্ষাতের পরে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।

তিনি বলেন, চ্যান্সেলর যখন আমাদের সময় দিবেন তখনই আমরা সমাবর্তনের দিনক্ষণ ঠিক করবো। উনি যদি অক্টোবরে সময় দেন, তাহলে অক্টোবরে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি ডিসেম্বররে সময় দেন, তাহলে ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। 

এদিকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজকের সিনেট অধিবেশনের শুরুতেই গত একবছরে দেশে ও দেশের বাইরে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মৃত্যুবরণ করেন তাঁদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। এরপর উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ তার অভিভাষণে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন।

এরমধ্যে উল্লেযোগ্য হচ্ছে-১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৬০টি কলেজে একযোগে আনন্দ র‌্যালি, আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ২টি গ্রন্থ প্রকাশনা ও বিশেষ সেমিনার আয়োজনসহ আরও নানা কর্মসূচি। এছাড়াও উপাচার্য তার অভিভাষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রগতি, শিক্ষার মানোন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপ, কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে গৃহীত সিইডিপি প্রকল্পের অগ্রগতি, আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি, ২০২০ সালের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখসহ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া সিনেট অধিবেশনে চাকরি সংবিধিতে সংশোধন এনে তা পাস করা হয়।

সিনেট অধিবেশনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন , জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান এমপি, অ্যারোমা দত্ত এমপি, পিএসসির সাবেক সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন তালুকদার, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সুপারিশ আকারে বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশীদ, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনসহ মোট ৫৫ জন সদস্য সিনেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।