প্রাথমিকের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিজের থু থু খাওয়ালেন শিক্ষক!

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শ্রীকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে থুথু খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক মো. মোশাররফ তালুকদারের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষকের কাছে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ওইদিন বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যস্ত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সে অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক মোশাররফ তালুকদার চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নেন।

এ সময় রুটিন মোতাবেক বাড়ির কাজ জমা না দেয়ায় চতুর্থ শ্রেণির পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিজের থুথু খাওয়ান তিনি। শিক্ষকের এ ধরণের আচরণে মর্মাহত হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

তাদের অভিভাবকরা জানান, ছুটির পর বাড়িতে ফিরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায় শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা সঙ্গে সঙ্গে প্রধান শিক্ষককে ফোনে বিষয়টি জানালে পরের দিন তাদের বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে গেলেও অভিযুক্ত শিক্ষক আসেননি।

এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক আ. হান্নান শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে ওই শিক্ষকের পক্ষে ক্ষমা চান। অভিভাবকদের অভিযোগ, বাড়ির কাজ জমা না দেয়ায় মোশাররফ তালুকদার জোর করে শিক্ষার্থীদের মুখের ভেতর থুথু খেতে বাধ্য করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোশাররফ তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি এমন হবে ভাবিনি। তবে তিলকে তাল বানানোর জন্য একটা পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. হান্নান বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি বিদ্যালয়ের কাজে উপজেলায় ছিলাম। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি শুনে ওই শিক্ষকের পক্ষ হয়ে ক্ষমা চেয়েছি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্য এক ঘটনায় আগেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটালেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’