রাউফুন বসুনিয়ার প্রতিকৃতিতে ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন

১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিন চলছিল স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালনের প্রস্তুতি। কিন্তু সেই রাত আর পোহালো না রাউফুন বসুনিয়ার। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে মহসিন হল পার হয়ে মূল রাস্তায় উঠতেই নতুন ছাত্র সমাজ গুলি করা শুরু করে।

এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র রাউফুন বসুনিয়া। বসুনিয়া তোরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ই ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টার দিকে শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার ৩৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনের নেত্রত্বে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেদিন গাছে গাছে শোভা পাচ্ছিল বসন্তের ফুল। লাল কৃষ্ণচুড়া আবারও রক্ত পেল রাউফুন বসুনিয়ার। সেদিন চলছিল স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালনের প্রস্তুতি। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে মহসিন হল পার হয়ে মূল রাস্তায় উঠতেই নতুন ছাত্র সমাজ গুলি করা শুরু করে। এতে মাঠিতে লুটিয়ে পরে জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র রাউফুন বসুনিয়া।

রক্তে ভেসে যেতে লাগল কালো রাজপথ। রাউফুন বসুনিয়া হয়তো অনেকটা আত্ম অভিমানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে।

রাউফুন বসুনিয়া স্থানীয় পাঙ্গারানী লক্ষ্মীপ্রিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, পরে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে সেখানেই ভর্তি হন মাস্টার্সে।