জঙ্গিবাদে জড়িত বাকৃবির নিখোঁজ ছাত্র রাজধানীতে গ্রেপ্তার

জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগ (সিটিটিসি)। রবিবার রাজধানীর সবুজবাগ থানার বালুর মাঠ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (সিটিটিসি) মো. ইলিয়াছ শরীফ।

গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রও রয়েছেন। গত মসের ৯ জানয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ওই ছাত্রের নাম শেখ ইফতেখারুল ইসলাম আরিফ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ২০১৪-২০১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুল হক হলের বি-ব্লকের ৪১৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্য। তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার সবুজবাগে একত্র হন।

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন নিজাম উদ্দিন, রায়হান ভূঁইয়া, হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন। তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, তিনটি ব্যাগ ও চারটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে।

ইলিয়াছ শরীফের তথ্যমতে, সম্প্রতি আনসার আল-ইসলামের নেতা আবু কায়সার ওরফে রনির নির্দেশে গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। এর আগে সংগঠনটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, সোমাবার রাতে ইফতেখারুল ইসলাম আরিফের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় অনলাইনের সংবাদ থেকে বিষয়টি জানলাম। আমার ভাই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলোনা। তিনি জঙ্গিবাদে জড়িত সেটা আমরা বিশ্বাস করিনা। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি তার।