সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

বাংলাদেশের নওগাঁ পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে রণজিৎ কুমার (২৪) ও কামাল আহমেদ (৩২) নামের দুই ব্যক্তির লাশ ফেরত দেওয়া হয়।

রণজিৎ কুমার পোরশা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং কামাল আহমেদ উপজেলার কাঁটাপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। লাশ দুটি বিজিবি পোরশা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এর আগে গত বুধবার রাতে উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্তের ২৩১ নম্বর প্রধান স্তম্ভের ১০ নম্বর উপস্তম্ভের কাছে রণজিৎ, কামাল ও মফিজ উদ্দিন (৩৮) নামের তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। মফিজ উদ্দিনের লাশ সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ২০০ গজ ভেতরে নীলমারী বিল এলাকায় পড়ে ছিল। রণজিৎ ও কামালের লাশ পড়ে ছিল ভারতের অংশে। ওই দুটি লাশ তুলে নিয়ে যায় বিএসএফ।

এদিকে গত কয়েক দিনে সীমান্তে বিএসএফের হাতে পরপর তিন দিনে মোট সাত বাংলাদেশি নিহত হন। নওগাঁর ঘটনার এক দিন আগে গত মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন দুই বাংলাদেশি। একই দিন ভারত থেকে অবৈধভাবে দেশে ফেরার পথে যশোরের বন্যাবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন এক বাংলাদেশি। এরপর বিএসএফ সদস্যদের নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পোরশা সীমান্তের হাঁপানিয়া বিওপির কাছে বিএসএফ-বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মফিজ উদ্দিনের লাশ ফেরত আনে বিজিবি। কিন্তু সীমান্তের ওপারে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ তখন ফেরত দেয়নি বিএসএফ। অবশেষে হত্যার দুই দিন পর আজ সন্ধ্যায় লাশ দুটি বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পোরশা উপজেলার হাঁপানিয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মোখলেছুর রহমান বলেন, বিএসএফের কাছ থেকে লাশ দুটি পাওয়ার পর পোরশা থানান পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, লাশ দুটি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।