সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন আরিফুল ইসলাম নামের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তিনি জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতকোত্তরে (৪৩ ব্যাচ) অধ্যয়নরত। এছাড়া সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

আজ শনিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে তিনি চার দফা দাবিতে এই অনশনে বসেন। আরিফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বরিশালের সদরে। তার দাবিগুলো হলো, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সকল হত্যার আন্তর্জাতিক আইনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা। ভারতকে সীমান্তে হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে আর হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সীমান্তে হত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারকে তদন্ত সাপেক্ষে দুই দেশের যৌথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জাতীয় সংসদে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করে নিন্দা জানাতে হবে।

আরিফুল ইসলাম বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসুতে হামলার সময় তিনিও ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে আহত হন। চিকিৎসক তাকে তিন মাস বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। বিশ্রামের এক মাস শেষ হয়েছে, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। তবে বিবেকের তাড়না ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতায় তিনি এ প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার এই চার দফা দাবির প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আসার আগ পর্যন্ত অনশন ভাঙব না।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের নওগাঁ পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। উপজেলা দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা নিয়ে উত্তেজনা থাকলেও সম্প্রতি নওগাঁ সীমান্তে তিন বাংলাদেশি হত্যায় বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনায় আসে।