স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার শপথ পরীক্ষার্থীদের

সবকিছু ফেলে স্মার্টফোনে মনোযোগ দেওয়া মানুষগুলোর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তবুও এখন অবদি আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্টফোনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাকে ‘আসক্তি’ বা রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। মনোবিজ্ঞানের ভাষায়, এ ধরনের আসক্তির মূল কারণ ইন্টারনেট, স্মার্টফোন নয়। তবে এ নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই।

এ আসক্তিকে এবার ক্ষান্ত দিতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ সরকারি বহুমুখী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সফলভাবে পড়ালেখা শেষ করে কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে আগামী সাত বছর স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার শপথ গ্রহণ করেছেন। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ভালো ফলের ওপর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। পরে উপস্থিত সব শিক্ষার্থী ইউএনওর সঙ্গে শপথ গ্রহণ করে।

গত বুধবার বেলা ১১টায় ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে এই শপথবাক্য পাঠ করান নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার।

শপথবাক্যে শিক্ষার্থীরা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সচেষ্ট থাকা, সমাজের যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা, নেশা ও ইভ টিজিংকে ‘না’ বলা, বাল্যবিবাহ থেকে দূরে থাকা, বাবা, মা ও শিক্ষকদের কথা মেনে চলা, পড়ার টেবিলকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া এবং ওই দিন থেকে সাত বছর স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার অঙ্গীকার করেছে।

শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ইউএনও নাজমুন নাহার বলেন, ‘ওয়াদা পালন না করা গুনাহের কাজ। তোমরা যারা আজকের ওয়াদা পালন করলে, তাদের জন্য আমার দরজা আজীবনের জন্য খোলা থাকবে।’ শিক্ষার্থীদের সব সময় পাশে থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার মো. সফিকুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান, মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাফিকুল ইসলাম, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফায়েল হোসেন প্রমুখ।