আইসিটি এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প এর সম্প্রতি প্রাপ্ত অ্যাসোসিও’র আইসিটি এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে অ্যাওয়ার্ডটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এই অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত হন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ ধরনের আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেশের সকলকে অনুপ্রাণিত করবে। বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সকলকে অভিনন্দন জানান।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ আইডিয়া প্রকল্প কর্তৃক অর্জিত আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডটি পাওয়ায় সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।

গত ১২ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘২০১৯ অ্যাসোসিও-পিকম ডিজিটাল সামিট’-এ অ্যাসোসিও’র আইসিটি এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড পায় ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)’। তথ্যপ্রযুক্তিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎত্তম সংগঠন ‘এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও)’ আইসিটি এডুকেশন ক্যাটাগরিতে আইসিটি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য এই আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ ব্যানার নিয়ে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে আইডিয়া প্রকল্প এবং ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই, সজীব ওয়াজেদ জয় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি’। তাঁরই সুপরামর্শ ও সঠিক নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি আইসিটি খাতে প্রশিক্ষণ ও মেন্টরিং এর মাধ্যমে দক্ষ জনবল ও উদ্যোক্তা তৈরিসহ ফান্ডিং, লিগ্যাল সাপোর্ট, গ্রুমিং এর মাধ্যমে দেশীয় উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে প্রকল্পটি, যার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার অর্জন করে।

এরই মধ্যে ১২৬টি স্টার্টআপকে ফান্ডিং করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে প্রি-সিড স্টেজে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান আইসিটি ডিভিশনের স্টার্টআপ বাংলাদেশ-আইডিয়া প্রকল্পের কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট সোহাগ চন্দ্র দাস।

উদ্ভাবন-কেন্দ্রিক অর্থনীতির উন্নয়ন ও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য একটি জাতীয় উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং এর সহায়ক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার জোরালোভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর তারিখে মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশের ১ম সরকারি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’। এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হবার পরে স্টার্টআপদেরকে মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে সীড এবং গ্রোথ রাউন্ডে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১ কোটি এবং ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বাংলাদেশে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে এই কোম্পানি ভূমিকা রাখবে।

অ্যাসোসিও’র আইসিটি এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড এর মাধ্যমে এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা দেওয়ায় অ্যাসোসিও, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এবং অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নির্বাচন কমিটির প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ-আইডিয়া এর পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।