‘বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হতে হবে’

বাংলাদেশ-ভারত শিল্প ও বণিক সমিতি (আইবিসিসিআই) সভাপতি এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহ্মাদ বলেছেন, চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হওয়ার হতে হবে। যা বাড়তি স্বচ্ছন্দ ও স্বছলতা এনে দিতে পারে। তদুপরি এ প্রক্রিয়ায় বহু মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

আজ (২১ জানুয়ারি) স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘শিল্প-শিক্ষায়তন সংযোগ উন্নয়ন’ শীর্ষক বক্তৃতামালার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথ বলেন।

আবদুল মাতলুব আহ্মাদ বলেন, শিক্ষিত তরুণকে পেশা পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগুতে হবে। আর চেষ্টা করতে হবে নিজের শিক্ষাগত পটভূমি ও ব্যক্তিগত আগ্রহের সাথে মিলিয়ে তা ঠিক করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম. শাহজাহান মিনা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসইউবির প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবির এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (সিডিসি) আবু তাহের খান।

বাংলাদেশের ক্রেতা ও ভোক্তারা খুবই অল্পে তুষ্ট উল্লেখ করে মাতলুব আহ্মাদ বলেন, পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যবসা করাটা অধিকতর সহজ ও লাভজনক। তবে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে হলে অবশ্যই তাকে সৎ ও সাহসী হতে হবে, ব্যাংকের ঋণ ও আত্মসাতের চিন্তা পরিহার করতে হবে। আর বাড়তি মুনাফা করলে সরকারকেও বাড়তি কর দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তিনি নিটল-নিলয় গ্রুপের ২০ হাজার শিক্ষিত তরুণের কর্মসংস্থান প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য এসইউবি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অধ্যাপক এম. শাহজাহান মিনা তাঁর সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সারা পৃথিবীজুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটছে এবং সে ধারাবাহিকতায় কর্মবাজারের ধরন ও চাহিদাতেও নানামাত্রিক পরিবর্তন যুক্ত হচ্ছে। এসইউবি চেষ্টা করছে, অনিবার্য এসব পরিবর্তনজনিত বাজারচাহিদাকে বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে। শিল্পের অন্যবিধ অভিজ্ঞতাকেও এসইউবি কাজে লাগাতে আগ্রহী।

অনুষ্ঠানে এসইউবির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এসইউবির প্রায় একশ’ শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।