ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশেরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে স্কুল থেকে শিশুরা ঝড়ে পড়ছে। এসব সমাধানে ছাত্রলীগকে এগিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্কুল থেকে ছিটকে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সবাই যেন পড়াশোনা করতে পারে, সেজন্য সুযোগ সৃষ্টি করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘লিডারশিপ ওরিয়েন্টশন’ অনুষ্ঠানে ফোনে ছাত্রলীগের উদ্দেশে এ সব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমানের মোবাইলে ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশে ১০ মিনিটের বেশি কথা বলেন শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন,কোনও লক্ষ্য সামনে রেখে সততা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করলে যে কোনও অসাধ্য সাধন করা সম্ভব। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, নিজের জন্য নয়। পরিবার-পরিজনের পর দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য পালন উচিত। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা কর্তব্য। এসব কাজে যে কোনো পর্যায়ে ছাত্রলীগকে ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু অনেক বড়ো স্বপ্ন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ছাত্রলীগ গঠন করেন। এই ছাত্রলীগের সঠিক ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বসহ সব গণতান্ত্রিক অর্জনে ছাত্রলীগের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সঠিক পথে চলার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ছাত্রলীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভালোভাবে লেখাপড়া করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভালো আচরণের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগকে সুশিক্ষা ও মেধার আলোয় আলোকিত হতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর লেখা দুটি বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’সহ গোয়েন্দা রিপোর্টের সকল বই পড়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ছাত্রলীগ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রলীগকে কিভাবে পরিচালনা করেছেন তা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রলীগের মাধ্যমেই সব তথ্য সংগ্রহ করতেন এবং জেলখানায় তিনি জাতির পিতার কাছে তা পৌছে দিতেন।