জন্মদিনের দাওয়াতে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

জন্মদিনের দাওয়াতে নিয়ে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল সাকিব এ তথ্য জানিয়েছেন।

এসময় তিনি জানান, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন ভিকটিমের মা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। আসামিরা হলো, নয়নপুর গ্রামের শরিফ (১৮), সুজন (১৯), শরীফ (২০) ও কবির হোসেনের স্ত্রী উর্মি (১৮)।

এবিষয়ে ভুক্তভোগীর মা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী উর্মি তার মেয়েকে সুজনের জন্মদিনের দাওয়াতে নিয়ে যায়। খাওয়ার পর জোর করেই কোমল পানীয় খাওয়ায়। এরপর মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে উর্মির সহযোগিতা তিন বন্ধু মিলে বাড়ি থেকে দূরের ঝোপে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সন্ধ্যা ৭টায় বাসায় ফিরে মেয়েকে না পেলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করে। রাত ১০টার দিকে বাড়ির গেটে অচেতন অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পায়। বুধবার মেয়ে স্কুলে যায়। কিন্তু অসুস্থ বোধ করায় বাসায় চলে আসে। পরে মেয়েটি ধর্ষণের কথা জানায়।

তিনি আরও জানান, কাজের জন্য মেয়ে ও স্বামী নিয়ে নয়নপুরে থাকেন তারা। তিনি একটি পোশাক কারখানা ও তার স্বামী দিনমুজুরের কাজ করেন। মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল সাকিব জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় মেয়েটিকে নিয়ে তার মা থানায় এসে অভিযোগ করলে উর্মিকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামিরা পলাতক।তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।