স্যারের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি

জবির প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান (বায়ে) এবং সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন
জবির প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান (বাঁয়ে) এবং সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান আর নেই। তাঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান। আর আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। উদ্যমী, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী শক্তি ছিলো তাঁর প্রখর। সত্যিকারভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চশিক্ষা বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিকাশে কাজ করতে চেয়েছেন। তার সময়কালের বিভিন্ন কাজে তা প্রকাশ পায়।

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তিনি সফল একজন উপাচার্য ছিলেন। তাঁর গবেষণা ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে তিনি তার মেয়াদ শেষ করার আগেই উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর নিজ কর্মক্ষেত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগে ফিরে যান। পরে তিনি দেশের শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন।

তাঁর সঙ্গে ছাত্র ও সাংবাদিক এবং শিক্ষক ও ভিসি সম্পর্ক আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় পূর্ণ ছিলো। বিক্রমপুরের এই কৃতি সন্তান একই এলাকার হওয়ায় বাড়তি টান অনুভব হয়তো করতেন। আমার শিক্ষক অধ্যাপক ড. এস আই খান শনিবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সকাল সাড়ে ১০টায় ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারস্‌) এর পরিচালক ছিলেন। এছাড়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে ঢাকা, জগন্নাথ ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছে।